Tuesday, May 14, 2019

ঋক সৌরক

 ঋক সৌরক

 হ্যাংওভার


অতীত থেকে সুদূরের দিকে কেঁপে যাওয়া পথ। মেঠো বাঁশির সুরে রোদ লেগেছে যেন। আমরা এসেছি শহরের জানালা খুলে। হাবেভাবে প্রথমবিশ্বের অকালকুষ্মাণ্ড শিশু। ঈশ্বরের জংগলে বসে আছে সেই আমাদের হ্যাংওভার। পিচবোর্ডের মত রঙ। সান্দ্র। থকথকে। বিষাদ। বিষাদের নেশা।নেশা কেটে গেলেও নেশার যেসব অতিমাত্রিক অতীন্দ্রিয় স্তর জড়িয়ে থাকে। সিম্যুলেশনের তলা দিয়ে বেরিয়ে আছে জলপাই বাঁড়া। কেউ রগড়ে দেয় না। স্নান না করা অথৈ বিড়ির দুপুর। তার ওপর গোয়ালনী আচ্ছা সে ঝাল দিয়েছে কচিপাঁঠায়... হুল্লোড়ের আওয়াজ হচ্ছে। দিন।রাত।দিন।রাত। দিন।রাত। সিলিণ্ডার। কার্ভড সারফেস। গড়িয়ে যাচ্ছে।  গড়িয়ে কেউ যেন গোটা জীবনের সারমর্ম একটা সাদাকালো টিভিতে চালিয়ে ফরোয়ার্ড বাটনটা টিপে দিয়েছে। দেশলাই বাক্সে ঘুমোতে যাচ্ছি আমরা। এতটাই বিন্দুতম যে জামা-প্যাণ্ট-কাছা-চোখ-মুখ সমস্তটা নেগলেক্ট করা যায়। শুধু অন্ধকারটা স্থায়ী। কণ্ট্রাস্টে আলো সুদূর থেকে অতীতের দিকে কেঁপে যাওয়া পথ। যন্ত্রণাটাকে আস্তে আস্তে পোষ মানিয়ে ফেলছি। তাকে ছেড়ে ধরাধামে সবকিছু অন্ধকার মনে হয়। আলোও মনে হয়। ভলিউমান্তর তারপর বিষাদ একদিন ভোরবেলা চলে যায়। জুলজুলে সূর্য ওঠে। শান্তির মত। সুরিয়্যাল। ভদ্র মানুষেরা আসে। একে একে পরিচয় হয়। বাবা-মা-ভাই-বোন-প্রেমিকা ইত্যাদি। গল্পটা এইখান থেকে আমূল মোড় নেবে, বলে আমার লেখক। আমার ডাক্তার। কিন্তু বমি বমি ভাবটা যায় না। আমি, প্রথম বিশ্বের পায়াখানাদানিতে একঝুড়ি হাগি। তৃতীয় বিশ্বের মত।  কে যেন দরজা বন্ধ করে দেয়। কে যেন লাইট অফ করে দেয়। কে যেন ক্যামেরা... কে যেন অ্যাকশন... রি-অ্যাকশন  বিষণ্ণ ধরাধামের অকূলপাথারে বসে। পাশ্চাত্য ভংগিমায় কোঁত পাড়ি। মোচড় দিয়ে ওঠে.... আঁককককককক  যেন ঘাড় থেকে ভূত নেমে যাচ্ছে তরস খেয়ে। যাবার সময় প্রমাণ হিসেবে ভেঙে যাচ্ছে একটা প্রকাণ্ড বৃক্ষের মত শাখাপ্রশাখাময় অন্ধকার। বলছে, আর ফিরে আসবে না কক্ষনো অতীত থেকে সুদূরের দিকে কেঁপে যাওয়া পথ। মেঠো বাঁশির সুরে রোদ লেগেছে যেন। আমি অনুভব করছি কারা যেন ফিসফিস করছে। গুনগুনও।  ফুটেছে নতুন ফুল। মৌচাক আরো বড় হচ্ছে। সারা শরীর লেপ্টে আছে মধুতে। ওদেরই মাঝে, ওদেরই বদ্ধ সমাজের নিপুণ অনুকরণে। দু-চারবার টাল খেয়ে। পিছল কেটে। দেখো হে, জন্মান্তর আমিও উড়তে পারছি সুদূর থেকে অতীতের

No comments:

Post a Comment

সূচীপত্র

সম্পাদকীয় দেহ্‌লিজের চতুর্থ সংখ্যা প্রকাশ হলো অনুবাদ Agni Roy ...