বে নী আ স হ ক লা
মোনালি রায়
ভূমিকাঃ ৷ মুভমেন্ট লক্ষ্য করছিলাম।
মিলে মিশে যাবার তাড়নায় ইসথারের প্রেমে এলিমেন্টগুলো সাড়া দেয় না, ফাঁদে পড়ে না হারেমের রহস্যে ঢাকা নগ্নতার।
যেকোন কামুক এলিমেন্ট থেমেই যেতে পারত সেইসব লাল পাথরের প্রাসাদে, যেখানে মৃত্যু শয্যা পাতা, ফেলে রাখা অবিরাম আগলে রাখার সাত ফাঁদ, লাগামের বেড়া
...দেওয়াল শহরের মূক বধির হিতাহিতবোধহীন গতি সেসব সুযোগ না দিয়ে বাদ-প্রতিবাদমুখর অসংখ্য পদার্থকে নির্দিষ্ট দূরত্বের ব্যবধানে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অন্য-সময় গহ্বরে
.....
তবু, একটা অতি বেগুনী বিন্দু ঘুরতে ঘুরতে বেড়ে যাচ্ছিল। এগিয়ে যাচ্ছিল কোনও অদৃশ্য আঙুলের তোয়াক্কা না করে। সাথে বিন্দু বিন্দু লাল। অসমসত্ত্ব চলনে পেরোতে চাইছিল চেনা অরবিট।
দুই সাহসিকের মাঝের সবকটা দলছুট রঙ নির্বাচিত মহাপুরুষদের দূরে রেখে; বোমা, গ্রেনেড, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ওভারহেডের ভয়, দাগছোপ, বিলুপ্তিকরণের সন্দেহ ছাড়িয়ে একে একে মিলে গেল ওদের সাথে।
একটিমাত্র দৃশ্যকল্প তৈরি হল......গতি, সুর, ক্ষিদে অতৃপ্তিসহ
অনন্ত!
বেঃ তুমি যমুনায় গেলে আমাকেও যেতে হবে। তুমি প্যারাবোলিক রাস্তায় যদি হুতাশ, আমিও একই চোরাপথের শেপ'এ। যখন নগ্নতা ওড়াবে নিঃশূন্যে,
অন্তর্বাসের নাম করে শরীরে ভরে নেবে বালি-- আমিও সব বীকার, ফানেল ভরে নেব বালিতে
নেশাদের ফেলে প্রত্যয়টুকুই জেগে আছে তিরের মত
নীঃ বিষের প্রতিষেধক নির্দোষ নোনতা স্বাদই তো সব মৃত ফুলেদের মুখে, মকবরায় যাবার আগে।
শিশিরেরা যে ক্ষীর জমা রাখে বুকে, ভাগ্যবানেরা দুর্বোঘাসে যে প্রার্থনা গেঁথে দেয় ঈশানে-- ধূলো ঝড় বজ্র বিদ্যুৎচমকে তাদের লোভ নেই...
সমাধির আছে, বিস্তারিত খোলা জমিদের, আর
যারা যুদ্ধ অথবা খুন অথবা ধর্ষণ অথবা খিদে নিউজ পেপার ছাড়া অন্য কোথাও দ্যাখেনি।
আঃ মূক বধির স্থির পাথর, বিবর্ণ নয়, আকাশ যেমনটা কখনো স্বপ্ন হয়। শুরুতে সবটাই সমতল তারপর খোদাই, চূড়া, মিনার, আবরণ, অলংকার।
অনেকটা ভেতরে গেলে সমুদ্রের মত আকাশের তীব্র ছায়া
চোখ ছিঁড়ে নেওয়া আলোর নিপুণ কাটাছেঁড়া
সঃ সচল আকাঙ্খায় দূর্গের সিঁড়ি বৃত্তাকারে ঘোরে, গতিতে গতিতে প্যারামিটারেরা নিজেদের হারাতে হারাতে বড় আরো বড় চলমান চাকা --
প্রবৃত্তি ব্যূহ ও সুড়ঙ্গ নেমে গেলে দুই মেরু প্রসারিত কাঁটা থামিয়ে দেয় সচলতা, জড়তা পেরিয়ে যায় সরু তার
কোল্ডস্টোরেজড লাশ, সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সে কঠিন হয়ে যাওয়া রক্তচূর্ণ, নীলে পাওয়া জমি, শহরের প্রতিটি ঘন্টাঘর --
অন্ধকার নামলেই লাইট এন সাউন্ড!
ঘূর্ণনপ্রিয় চব্বিশ টা স্পোক পাখনা হয়ে উড়িয়ে নিয়ে যাবে পুনরাবৃত্তির বাইরে
হঃ ঠিক এইখানে দাঁড়িয়ে আছ, অনেকগুলো সমান্তরাল সরলরেখার একটাতে পা দিয়ে। এখানে নিজেদের মধ্যে কাটাকাটিগুলো অদৃশ্য।
কফি দেওয়ালে ভাংচুর, ঠান্ডা বইঘর, মেট্রোপলিসের বনসাই মিলে মিশে শক্তিবৃদ্ধির তালে ছিল... গতিজাড্যের নিয়ম মেনেই হয়ত ছিটকে গেছে নির্ভার মনখারাপেরা
কঃ কাচ ঘরে আটকেছে মোম, তুষ, সুতলি, ম্যাচিস পরপর। বিশ্বাস ভেঙে ভেঙে গড়ে উঠছে দেহ, দেহের অভ্যন্তরীণ পরিখায় বৃষ্টি, ছিটেফোঁটা আগুন, নিরাপদ পেতল, রেপ্লিকা
সব গুঁড়িয়ে কাচ পাথরের গোপনতম মূহুর্তের ইচ্ছেয় ইন্দ্রপ্রস্থে ছুটে আসে দাবানল
লাঃ কম্পাঙ্কহীন শব্দের অনুরণন অনুরতি খালি গায়ে জড়িয়ে চলছিল স্রোত । গরম আগুন, লাভা ঢেলে দিচ্ছিল জ্বলন্ত নক্ষত্র। থামার উপায় ছিল না, ব্রেকফেল মৃত্যু পেছনে। থামলেই খুবলে নেবে মাংস, গলিয়ে দেবে পাঁজর, হাড়। ছিঁড়ে নেবে বৃন্ত দাঁতে, নখে। গলামাংসের অবশিষ্ট কান্না হিড়হিড় নিয়ে যাবে ডেরা, সরেজমিন। পুছতাছ। বিচার। কবে আর বোঝা যাবে, এ পাপিষ্ঠা প্রবাহ মরতে চায় না, বিলীনতা চায়!
উপঃ উৎসব লাল পাথর বা সবুজ টিয়া হতে পারত, ময়ুর, বিয়ের কনের মত কিন্তু লোহা, শিফন অবশেষ প্লাস্টিক হল
প্রজ্ঞা, প্রজাপতি ও প্রলাপ পড়ে রইল কেচাপ শূন্যতায়, ব্রাউন প্লেটের টেক্টোনিক ভাঁজে, আস্ত নদি গিলে ফেলা শিকারী লালায়
জলদাগ নুড়ি, হ্যালুসিনেশন চিত্রকল্প , বাদশাহের অভ্যস্ত নখ ঠেকে গেল স্ট্র্যাপলেস টপে,, ঠোঁটেঠোঁটে ঘোরা স্ট্রয়ে
সংহারঃ এস্কালেটর, উঠে আসতে অভ্যস্ত শহরের মাথায়
জেনে রাখা ভাল, এ শহরের পঁচিশতম মাথাটি ভেঙে পড়বার মূহুর্তে প্রাইম এলিমেন্টগুলো কফি-চকোলেট - বীফের মিশ্রিত গন্ধে ডিলাইটেড মোডে ছিল
No comments:
Post a Comment