কমল চক্রবর্তীর কবিতা
এখানে জিরাফ থাকতো
এখানে জিরাফ থাকতো ,জিরাফের দাদু ডায়নোসর
এখানে হাতিরা থাকতো
হাতিদের প্রিয় ভিটামিন !
সঘন মেঘের দল
ঝর্ণার রঙ্গিন -দোপাটি ।
এখন মানুষ থাকে
ধু ধু মরুভূমি
বেচারা মধুর লোভে , ছায়ার গভীরে
বনচোরা ভালু
কোথায় হারালো দিশা
রাশিয়ার কালো মিসা
মৃত্যু বাসরে মধুবনী ।
এখানে কোট রা থাকতো
শতশত বার্কিং ডিয়ার
বুনো ছাগলের ক্ষণকাল
পাতা ছেঁড়া , ফুল ঝরা , পশ্চিমের হাট !
এখানে বাঘেরা থাকতো , বাঘের প্রেমিকা
বন বিবি , দাদা দক্ষিণ রায়
বিজনে সাজানো থাক
ঢোলা - কৃত্তিবাস ।
এখানে দ্বিমত থাকতো , বহুমত রক্তের রেখা
বারুদে সাজাতো খেয়া
ইবন বতুতা !
আমাদের ঘরবাড়ি
মনে রাখবে কী ,
আমাদের ভাঙাবাড়ি ?
এদিকে তাপ্পি , সূর্যের ঘোড়া !
ওদিকে তাপ্পি , পূর্ণিমা !
এদিকের বেড়া নলখাগড়া !
ওদিকের বেড়া মনোরমা !
ভাঙা দিয়ে ঢোকে গোলা পায়রা
ফুল ঝরে তারও এক কণা !
নয়া সড়কের পাশে বারান্দা
দালানের গায়ে গলিঘুঁজি
মাতালের দল ঢোকে টলমল !
নাঙ্গ হাঁকে , 'ওগো ফুল খুকি ! '
ঘরের দেয়ালে খেজুর তিজেল
যুবতী র মুখে লাল চুষি!
যে বাড়ি ব্যাপক !
যে বাড়ি নীরব !
যে বাড়ি রাতের বানভাসি।
হে ব্যবধান !
সেবার শর্মিষ্ঠা ছিল !
এবার দেবযানী !
সেবার রাক্ষসী ছিল
এবার শাকম্ভরী !
সেবার মর্মরিত , উপগত
এবার মনোবীণা , নির্জলা -আশ্বিন !
সেবার ভবতোষ থেকে ফুল ঝরে ছিল
ক্যাওড়া , কাসুন্দি
কতিপয় লাল -গন্ধ রাজ!
এবার আশুতোষ থেকে
খোলামেলা , ডাহুক , তিতির , বুনো হাঁস
সেবার নর্মদা ছিল
গাড়ু গামছা , হিজল -তরণী
এবার কুয়োর জলে
মণিদীপা , সাতনরী, দশ অক্ষৌহিণী ।
এবার সুব্রত , রিমা , ড্যানিয়েল ,
দৃষ্টিহীন ভোরের গৈরিক !
এবারই প্রথম , হুলুস্থুলু
মুখোশের দিব্য -জন্মদিন!
No comments:
Post a Comment