দিল্লিতে তিন দিন
তন্ময় ধর
১।
ফ্লাইওভারের বয়স তোমার আলজিভ আঁকড়ে ধরেছে
দেহতত্ত্বের এক চন্দ্রগহ্বর থেকে প্রলয়ের জলের হিসেব দিতে গিয়ে
ঈশা খাঁর সমাধির তীব্র লাল হুইস্পার, ঈশাবাস্যমিদং
স্মৃতিহীন ধনেশ পাখির ডিম ভেঙে ফেলে
পরাজিত লোদী রোড, স্তব্ধতা, আলো,
ভিজে ওঠা জলের বিম্বে, মাংসে, অভিনয়ে
থেমে থাকে, নক্ষত্রের নোনতায় সময় গড়ায়
ফেনা ভাঙে, ট্রাঙ্কুইলিজারে ঘন মদিরার শো-অফ
আদিম পায়ের নখে ঘুম হয়ে আসে
২।
ফ্রুটজ্যুসের স্বচ্ছতার বয়স থেকে তুমি টেনে তোল
নৈরাত্মার দেহবোধ, আঁশ, ব্লাডার, ঈশ্বরের অধৈর্য্য কঙ্কাল
এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে
চুঁইয়ে পড়ছে গ্রাসনালীর অন্ধকার
আস্তে আস্তে এশারের ছবির মত হয়ে উঠছে উড়ন্ত শঙ্খচিল
ম্যাজিকের শব্দে কেউ স্নান করছে গোপনে
পেটের মাংসে লিটল মার্মেডের রূপকথায়
তোমার আত্মাভিমানের মদ থেকে একের পর এক উঠে যাচ্ছে বুদবুদ
বাবল্- বাবল্ গাম, শাব-এ-গম্ মুঝসে মিলকর আইসে রোয়ি
য্যায়সে মিলা হো শদিঁও বাদ কোই
৩।
আরো প্রাচীন এক রামলীলা পিছলে যায়
আমার জাতিস্মর ভূগোলের ঠিক মাঝখানে
রক্তাল্প তীরধনুক থেকে সরে যায় আদিম মাছ
ভ্রম মনে হয়,
গোলাপী তীব্র ব্লাডার ও গহীন যমুনার কুহক থেকে
বার্গম্যানের অন্ধকার ক্যামেরা সরাতে সরাতে
আমি ধাক্কা খাই, স্মৃতিহীন এক যৌনতায়
অচেনা গর্ভদুয়ার ও আকাশে
পায়েস রেঁধেই চলেছো তুমি
সোনার সীতায় চিনি মিশছে না
No comments:
Post a Comment