সঞ্জীব নিয়োগীর কবিতা
সঞ্জীব নিয়োগী
।।দ্বিধাহীন।।
মনে হয় একদিন দ্বিধাহীন দিব
আপাদমস্তক কাটা গাছ
এমন আচমকা পড়ে যাব
সমর্পিত
প্রার্থনায়
বিশ্রামের অতলে ভাসব
হৃদয়ে মাথার ভার ঢেলে দিয়ে যাব আশরীর
অন্য কারও মুখচ্ছবি
ছায়া ফেলবেনা মাঝখানে
।।নন-সার্জিক্যাল চিঠি।।
ঠোঁট মুছে এসো হাওয়া বেয়ে
রসতত্ত্ব মাঠে রাখা যায়, সুবিনীত অন্ধকার যেন
তবু এসো ঘ্রাণের সোহাগে
চিলের নজর জুড়ে ডানাঢাকা নবীন হেঁয়ালি
এই কথা আমিও তো বলি অন্য পথে
এসো, সাজুগুজু দৃশ্যমান হোক
দামামা তখনই বেজে ওঠে...
।।সময়।।
স্মৃতির বদলে কিছু উল্লম্ফনীয় হাতে আসে
হাত থেকে অন্য হাতে যায়
কিছু সিড়ি নিচে আর বাদবাকি উপরের দিকে চলে গেছে
ফুল হয়, সংকেতের মতো ফুটে থাকে
সমস্ত পৃথিবী জেনে গেছে
যেভাবে বেঁধেছ হাতে সময়-মাপক
হাত থেকে শুরু হয়ে হস্তান্তরে ছাপিয়ে উঠেছে
ছবিগুলো বিজ্ঞাপনে
স্মৃতির কানাচে
বিনিময়ে
থাকে...
।নিশি ডাক।।
লোভনীয় হাতছানি জমা করা থাকে...
কার যে কখন আসে বর্ষাদিন
কালো-গর্ত-টান
প্রাণের দোহাই দিয়ে আদরের ঘটা
ব্যবচ্ছিন্ন বাস্তবের গ্রহান্তর যেন
শেষ দেখা হতে পারে! পারে?
জমা-খরচের
ঋতু ভুলে থাকা যায়
কেবল কস্তুরি-ডাক ধ্রুব
ও আলাপে...
।।লতাগাছের আশা।।
সেন তো তোমারও নামে লেগে আছে
বনে বনে তুমিও তো হারায়েছ পথ
অতি শীঘ্র পড়ে যাওয়া বীর্যের কাছে
হাঁটু মুড়ে মিনতি করেছ
বেড়ে ওঠো লতাগাছ
বলিষ্ঠ ভরসা
মাথারেখে শুয়ে থাকো
রুটি মাংস কষা খাওয়া বুকে!
No comments:
Post a Comment